আজ রবিবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নির্বাচন পর্যবেক্ষনে বিতর্কিত আসকের ২ হাজার আবেদন


সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
বাংলাদেশের জন্মের পর থেকেই দেশী বিদেশী বহু সংস্থা প্রতিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষন করে আসছে। এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক প্রতারক বিভিন্ন নামে সংস্থা খুলে নির্বাচন পর্যবেক্ষনের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

নির্বাচনে পর্যবেক্ষনের নামে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত করছে। এমনই একটি প্রতাকর সংগঠন আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক)। সম্প্রতি শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) নারায়ণগঞ্জ জেলায় নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রায় ২ হাজার পর্যবেক্ষক চেয়ে আবেদন করে। অভিযোগ রয়েছে কোন যাচাই বাছাই ছাড়াই বিতর্কিত এই সংগঠনের নামে প্রায় শতাধিক পর্যবেক্ষকের পরিচয়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। প্রতারক সংগঠনের নামে পরিচয়পত্র হাতিয়ে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছে একাধিক প্রার্থীর স্ত্রী, পুত্রসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।


সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষনের নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে পরিচয়পত্র দিয়েছে আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) নারায়ণগঞ্জ শাখা। বিশ্লেষকগন বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ এবং সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নটি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক পর্যবেক্ষন। পর্যবেক্ষন নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া কখনোই সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক থাকতে হবে। ভূঁইফোড় সংগঠনের পর্যবেক্ষক তো তাদের পেটপুরে খেতেই চাইবে। সব অর্থে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই শুধু আমরা একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারি। তার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেতে পারে।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কি না, তা নিরূপণের জন্য স্বাধীন ও পক্ষপাতহীন, নির্বাচনের সঙ্গে স্বার্থসংশ্লিষ্টহীন সংস্থা ও ব্যক্তিদের দ্বারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত একটি রীতি। এই রীতির অনুসরণে বাংলাদেশেও বিভিন্ন সংস্থা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে থাকে। তাদের পর্যবেক্ষণলব্ধ মূল্যায়নের ওপর নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই নির্ভর করে।
অনুসন্ধানের জানা গেছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য আসক ফাউন্ডেশনের নিবন্ধন বাতিল এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও দাবিও উঠেছে ইসিতে।

মো. উজ্জ্বল হোসেন মুরাদ নামে এক ব্যক্তি এই অভিযোগ করেছেন। গত ১৯ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব বরাবর এই অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনকে অসহায়, গরিব, দুঃখী, নির্যাতিত মানুষের মানবাধিকার অধিকার রক্ষা ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদানের নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করছে। লাখ লাখ টাকা আর্থিক লেনদেন করে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে বিপুল অর্থের বিনিময়ে সংস্থার পরিচয়পত্র বিক্রি (যে যেই পদ চায়, শিক্ষিত/অশিক্ষিত, মামলাধারী) করছে। সংস্থাটি স¤প্রতি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাগজপত্র জাল-জালিয়াতি করে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে।
তবে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মো. সামসুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমি কোনো দুর্নীতিরে সঙ্গে জড়িত নই।’

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ